ঢাকা,শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

চকরিয়ায় ভারী বর্ষণে বন্যার আশঙ্কা: মাতামুহুরী নদীতে নেমেছে পাহাড়ি ঢল

এম.জিয়াবুল হক, চকরিয়া ::

চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি জনপদে সোমবার ও গতকাল মঙ্গলবার দুইদিনের অবিরাম ভারী বৃষ্টিপাতে কারনে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে নেমেছে পাহাড়ি ঢলের পানি। এ অবস্থার কারনে চলতি বর্ষাামৌসুমে ফের তৃতীয়বারের মতো বন্যার পদধবনি দেখা দিয়েছে। গতকাল দুপুরে নদীতে ঢলের পানি বিপদসীমা সুই সুই করে প্রবাহিত হচ্ছিল। ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে মাতামুহুরী নদীতে ঢলের পানি নামার ফলে উপজেলার বেশির ভাগ নীচু এলাকা পানিতে প্লাবিত হয়ে পড়েছে। তলিয়ে গেছে সবজি ক্ষেত ও গ্রামীন সড়ক-উপসড়ক। এতে দুর্ভোগ পোহাচ্ছে জনসাধারণ।

চকরিয়া পৌরসভার মেয়র আলমগীর চৌধুরী বলেন, ভারী বর্ষণে উজান থেকে মাতামুহুরী নদীতে পাহাড়ি ঢল নামার কারনে গত দুইদিন ধরে চকরিয়া পৌরসভার একাধিক স্থানে বেড়িবাঁধ হুমকির মুখে পড়েছে। ঢলের পানি লোকালয়ে ঢুকে পৌরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডের মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। পৌরসভার ৯নম্বর ওয়ার্ডের মজিদিয়া মাদরাসা পাড়া, ভাঙ্গারমুখ, দিগরপান খালী, এক নম্বর ওয়ার্ডের চরপাড়া, ছাবেত পাড়া, কাজীর পাড়া, ৩নম্বর ওয়ার্ডের বাটাখালী সেতুর পাশের কয়েকটি গ্রামের জনসাধারণ স্বাভাবিক জীপন যাপনে চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।

সুরাজপুর-মানিকপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজিমুল হক আজিম জানিয়েছেন, টানা দুইদিনের ভারী বর্ষণের কারনে মাতামুহুরী নদীতে উজান থেকে পাহাড়ি ঢল নামে। পানির প্রবল ¯্রােতে তাঁর ইউনিয়নের বেশির ভাগ নীচু এলাকা তলিয়ে গেছে। এতে নদীর তীর এলাকার লোকজন চরম দুর্ভোগে রয়েছে।

লক্ষ্যারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তাফা কাইছার বলেন, দুইদিনের ভারী বর্ষণে তার ইউনিয়নের নীচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। বর্তমানে চকরিয়া সরকারি কলেজ, আমজাদিয়া মাদরাসা হাটু সমান পানিতে নিমজ্জিত অবস্থায় রয়েছে। ইউনিয়নের হাজারো পরিবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। বর্তমানে হুমকির মুখে পড়েছে ৩৩ হাজার কেবি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইন।

তিনি বলেন, মাতামুহুরী নদীর তীরবর্তী হাজিপাড়া অংশে চলমান আড়াই কোটি টাকার তীরসংরক্ষন কাজ পানিতে তলিয়ে গেলে ৩৩ হাজার কেবি বিদ্যুত সঞ্চালন লাইনটি বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে। তাতে চট্টগ্রামের সাথে কক্সবাজার জেলার বিদ্যুত সরবরাহ ব্যবস্থা অনিদিষ্টকালের জন্য বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মক্কী ইকবাল হোসেন বলেন, বৃষ্টিপাতের পাশাপাশি মাতামুহুরী নদীতে পানি প্রবাহ বেড়ে যাওয়ায় তাঁর ইউনিয়নে নদীর তীর এলাকায় ভাঙ্গনের আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। বর্তমানে একাধিক বসতঘর নদীতে তলিয়ে যাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

কাকারা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শওকত ওসমান বলেন, দুইদিনের ভারী বর্ষণে তাঁর ইউনিয়নের বেশির ভাগ নীচু এলাকা পানিতে তলিয়ে গেছে। ডুবে গেছে আভ্যন্তরিক বেশ কটি সড়ক। দুইদিন ধরে কাকারা বারআউলিয়া নগর গ্রামের মানুষ চলাচলের মাধ্যম হিসেবে কলা গাছের ভেলা ও নৌকা ব্যবহার করছেন। #

পাঠকের মতামত: